দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই

Monday, March 25, 2019

March 25, 1971: The darkest night of our history


Ziaur Rahman 
Ziaur Rahman  was a Bangladesh Forces Commander of BDF Sector 11 BDF Sector 1 initially, and from June as BDF commander of BDF Sector 11 of the Bangladesh Forces and the Brigade Commander of Z Force from July during the country's Independence war from Pakistan in 1971. He broadcast the Bangladesh declaration of independence on 27 March from Kalurghat radio station in Chittagong. 

"Amar Shonar Bangla, Ami Tomai Bhalobashi" this country is mine and I am proud of it. Millions of mothers bought us this victory at the price of their motherhood. With undaunted courage and a smiling face, sisters bid farewell to their brothers and fathers, just for the sake of our mother tongue, Bangla. Traumatizing heard and unheard tales of terror, loss and sacrifice echoes when we scream "Bangladesh" with heads held high in pride. 

Bangladesh is free today, liberated by the loyal love of the freedom fighters. When the red sun shines brightly amidst the green serene rectangle, a cynic mother, waiting for her long-lost son, finds her child's reflection in that ravishing redness, smiling and saying, "Here I am Ma! Always beside you, residing in this flag, the symbol for our freedom."

The year 1971 pens down our history. Since the 1952 Language movement, Bangladeshi's had not rested or blinked before being subjected to gunshots. On the "Darkest night" of March 25, 1971, a nightmare transformed into reality, as the Pakistani military, veiling under the blanket of darkness massacred millions.

Yahya Khan, serving as the then president of Pakistan, ordered his soldiers to sweep through the houses of Bengal inhabitants, who were sleeping peacefully in serenity. Who knew that these eyes would not witness the sunlight next morning, but will only be lying in a dripping red sea of blood.

The streets attired themselves in a crimson robe, as the ruthless armed hunters spared no sign or life or living. Frozen. Still. Murdered.Civilians, teachers, students, scholars were all lying dead. Dead bodies all around, the attackers came in, killed and left, leaving decay everywhere eyes could reach. Even Jagganath Hall, Rokeya Hall, Iqbal Hall and many other student's messes, which would generally be filled with chirping youths, now stood silent. 

Forcing the fear of death, they wanted these heads to bow, pleading for mercy, but they were mistaken. They wanted to take control of all the large and powerful states making up East Pakistan, and thus this genocide was carried out to cut off any rebelling voice. Around two hundred students and ten teachers from the University of Dhaka were slaughtered, even Rokeya Hall was not spared by these gunning assassins. 

Archer Blood's book "The Cruel Birth of Bangladesh: Memoirs of an American Diplomat" records that a fire was started at the Rokeya Hall in order to drag the students out of their bed. Based on a conversation between the Pakistan military control room and army unit 88 reveals that over three hundred women were either burned or shot to death that night. Dhaka, within one night, becomes the city of the dead. 
The Pakistan government admits of their action but takes no responsibility for its consequences. Flaming among fires and drenching wet in its own blood, the city resilient city of Dhaka now becomes a best, howling loudly, and ready to fight for its freedom. 

In order to stop these raging youths, the Pakistani military handcuffs Major Ziaur Rahman, but before that, this leader already announces freedom! Thus, with sticks and stones, young raging souls fight back, driving away the Pakistani soldiers. 

They even put a stop on all printing press, to prevent the news of the attack from spreading like a wildfire across the universe. March 26 is celebrated as our "Shadhinota Dibosh", the day our liberation war was declared.

After endlessly fighting the Pak Bahini for nine long months, we were finally freed. Thus, a new nation was born on the bosom of the Earth, which we now know by the name, "Bangladesh".  

M. Borhan Uddin Ratan 
Blogger 
Bangladesh Nationalist Party BNP (Official) 

Wednesday, December 19, 2018

 ❤  বিএনপির ইশতেহার-২০১৮ ❤

বিএনপির ইশতেহার



 একাদশ সংসদ নির্বাচন - ২০১৮

 ❤  বিএনপির ইশতেহার ❤

ক্ষমতায় গেলে তা গণতন্ত্রের অনুশীলন, রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা সুদৃঢ় করা ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার বিধান, গণভোট পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন, সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট বাতিল বিশেষ ক্ষমতা আইন’৭৪ বাতিল, বেকার ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি এসেছে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে।


রাষ্ট্র পরিচালনায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আছে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের সারাংশ তুলে ধরছি। সে পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো তুলে ধরছি।

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন:

 ☑   বিএনপি নির্বাচনের দিনের গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের অনুশীলনে পরিণত করবে।                   

 ☑  সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে।

 ☑        একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে।

 ☑        মন্ত্রীসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে।

 ☑       বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেওয়া হবে।

 ☑        সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

 ☑       বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে ‘জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংবিধানে ‘গণভোট’ ব্যবস্থা

           পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করা হবে।

 ☑       সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখসংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

 ☑      জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে।

 ☑     নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পুুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য অতীতের সমস্যার আলোকে নিরূপণ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ-আলোচনা করা হবে।

 ☑      প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের সদস্য থাকবেন সংসদে সরকারি দলের নেতা, বিরোধী দলের নেতা এবং সর্বজনশ্রদ্ধেয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব।

 ☑  একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে।

 ☑  জাতীয় নেতৃবৃন্দের আপত্তিকর সমালোচনা রোধে সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উৎসাহিত করা হবে।

 ☑     ব্যক্তির বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং দলীয় আনুগত্যকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবলমাত্র সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশ-প্রেম ও বিচার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র, পুলিশ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে।

 ☑      প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ দেওয়া হবে।

 ☑        র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। র‌্যাবের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এই ব্যাটেলিয়ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রাষ্ট্রের সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা স্ব স্ব চার্টার অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

 ☑         চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরনের তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকবে না।

 ☑         বিডিআর হত্যাকাণ্ডের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 ☑      রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেন সাধারণ মানুষের কোন ভোগান্তি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 ☑         প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।

 ☑         সড়ক পথে চলাচলে বিরাজমান বিশৃংখলার অবসান ঘটানো হবে এবং সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 ☑       দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


বিচার বিভাগ:

 ☑         সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত করা হবে।

 ☑     মামলার জট দূর করার জন্য যোগ্য বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে এবং এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

 ☑        বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা:

 ☑     মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারে সাথে কোন বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও কারো কন্ঠ রোধ করা হবে না। অনলাইন মনিটরিং তুলে দিয়ে জনগনকে অবাধে কথা বলার ও মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হবে।

 ☑     ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস এক্টসহ সকল প্রকার কালা-কানুন বাতিল করা হবে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তি দ্রুততর করার জন্য বিদ্যমান বাধাসমূহ পুরোপুরি দূর করা হবে।

 ☑        মানুষের জীবনের মূল্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন এবং অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে।

 ☑        বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল করা হবে।

 ☑       রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যুক্তিসংগত সমালোচনার অবাধ অধিকার থাকবে।


ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ:

 ☑      দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব থাকবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের হাতে।

 ☑    বর্তমানে কমবেশি ৫% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয় এর পরিবর্তে প্রতিবছর ৫% হারে বাড়িয়ে ৫ (পাঁচ) বছরে কমপক্ষে ৩০% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয় এর বিধান করা হবে।

 ☑      জেলা পরিষদ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।

 ☑        পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবা সংস্থা মেয়রের অধীনে রেখে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করা হবে।

 ☑         জনকল্যাণে প্রশাসনিক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করা এবং স্থানীয় সরকারের স্তর নির্ধারনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করা হবে।


অর্থনীতি:

 ☑        জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

 ☑    রফতানী প্রবৃদ্ধির হার ৩ (তিন) গুন বাড়ানো হবে। রফতানী পন্যের বহুমূখীকরণ করা হবে।

 ☑      শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক এবং সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলের অর্থ লুটের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন দুর্নীতি-অনাচার করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডে যোগ্য, সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশন বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকসমূহ পরিচালনা ও তদারকির ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত করা হবে।

 ☑         বর্তমানে চলমান কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করা হবে না। তবে মেগা প্রকল্পে ব্যয়ের আড়ালে সংগঠিত দুর্নীতি নিরীক্ষা করে দেখা হবে এবং এজন্য দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 ☑        বর্তমান সরকারের শেষ দুই বছরে তড়িঘড়ি করে নেয়া প্রকল্পগুলো পুনঃবিবেচনা করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে।

 ☑       দেশে কর্মরত সকল বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় এনে মুদ্রা পাচার রোধ করা হবে এবং তাদেরকে করের আওতায় আনা হবে।

 ☑      একটি টাস্কফোর্স রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের উচ্চ ব্যয়ের কারণ তদন্ত করে দেখবে।


মুক্তিযোদ্ধা:

 ☑        সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।

 ☑         দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।


যুব, নারী ও শিশু:

 ☑       জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

 ☑        ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।

 ☑        দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিএনপি সকল কর্মকাণ্ডে নারী সমাজকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে  সকল বাধা অপসারণ করা হবে।
       

 ☑        ক্রিড়া ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে।

 ☑        নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, এসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচাররোধে কঠোর কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশু-শ্রম রোধে কার্যকর বাস্তবানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
           

 ☑             শিশু সন্তান রেখে নারীরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজে মনোনিবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক দিবা যত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 ☑         নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন, স্বল্প-সুদে ব্যাংক ঋণ এবং কর-ছাড় দেয়া হবে।

 ☑        এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

 ☑         নারীদেরকে ন্যায়সঙ্গত সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রদান করা হবে। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিদ্যমান আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।


শিক্ষা ও কর্মসংস্থান:

 ☑         শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে।

 ☑         উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সমৃদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব
            দেওয়া হবে। গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়।

 ☑         শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় টিভিতে একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে।

 ☑       বিশ্বের মেধা জগৎ ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে বাংলাদেশের একটি নতুন মাত্রা যোগের জন্য বাংলা ভাষার পাশাপাশি   ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশী ভাষা শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

          ☑        স্বল্পআয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বল্প সুদের শিক্ষা ঋণ চালু করা হবে।

 ☑      বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের সুবিধার্থে মেধাবীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল   গঠন করা হবে।
       
শিক্ষা ও কর্মসংস্থান:
☑       ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-সংসদের নির্বাচন নিশ্চিত করে ছাত্রদের মধ্য হতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের পথ সুগম করা হবে।

 ☑          মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 ☑          সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক ‘সম্মানীভাতা’ চালু করা হবে।

 ☑         বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে তা প্রতিরোধ করার জন্য সকল প্রকার আইনি, প্রতিকারমূলক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 ☑          শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। ভ্যাট বিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং এসব আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

 ☑          সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।

 ☑          প্রথম ৩ (তিন) বছরে দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ২ (দুই) লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে।

 ☑        তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে।

 ☑          আগামী পাঁচ বছরে এক (০১) কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 ☑         এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

জ্বালানী:

 ☑        অদক্ষ পুরানো বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ অতি জরুরি ভিত্তিতে আধুনিকায়ন এবং পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশীয় গ্যাস এবং ফার্নেস-অয়েল-এর ওপর নির্ভলশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করা হবে। বিদ্যুৎ সংকট স্থায়ীভাবে নিরসন এবং কার্বন নিঃস্বরণ হ্রাস করার লক্ষ্যে ছোট, মাঝারি ও বৃহদাকার পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানী আহরণ বিশেষ করে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জিও-থারমাল, সমুদ্র তরঙ্গ, বায়োগ্যাস, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 ☑         বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জলাধার, গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ শিল্প সরকারি খাত এবং প্রয়োজনবোধে সরকারি/বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা হবে।

 ☑          ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরে বিদ্যুৎ ও আবাসিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যে সকল প্রকার অসঙ্গতি দূর করা হবে।

 তথ্য ও প্রযুক্তি:

 ☑        তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশ হতে অর্জিত অর্থ দেশে আনয়নের ক্ষেত্রে সকল প্রকার অযৌক্তিক বাধা দূর করা হবে। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর সাথে জড়িত সকলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বল্প চার্জে Global Payment Gateway সুবিধা দেওয়া হবে।

 ☑          Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN), Internet Service Provider (ISP) Ges International Internet Gateway (IIG) মার্কেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর ফলে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে, দক্ষতা বাড়বে এবং ইন্টারনেট ব্যয় হ্রাস পাবে।

 ☑         অগমেনটেড রিয়্যালিটি, এ্যানিমেশন এবং রোবটিকস তৈরী খাতে গবেষনা ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। START UP FUND Ges IT Innovation Fund Ges Venture Capital দিয়ে দেশের স্থানীয় সমস্যার জন্য তথ্য প্রযুক্তির সলিউশান ডেভেলাপ করতে উৎসাহ দেয়া হবে।

 ☑        পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্নভাবে ই-গভর্নমেন্ট চালু করার জন্য ক্লাউড ভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ এপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে সরকার দেশি প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।

 ☑          ভিওআইপি ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে এই খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

 ☑          সৃজনশীল  ব্যক্তির মেধাস্বত্বের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শুধু সাব-কন্ট্রাক্ট নয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি স¤পাদনে স্থানীয় কোম্পানীগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত সফটওয়ার ব্যবহারে স্থানীয় কোম্পানীগুলোকে উৎসাহিত করা হবে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্বরান্বিতকরণ তহবিল সহ আইটি ইনকিউবেটর এবং ল্যাবরেটরী ব্যবস্থা সংযোজিত হবে।

 ☑          ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল ডাটার জন্য এবং ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্যে সময়োপযোগী সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে।

 ☑         তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত সকল প্রকার উপকরণ সামগ্রীর ওপর শূন্য শুল্ক সুবিধা বজায় রাখা হবে।

 ☑       মেট্রোপলিটন এলাকা, পৌরসভা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রশাসনিক কেন্দ্রসমূহকে ক্রমান্বয়ে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট পৌরসভা, স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করা হবে।


ক্রীড়া ও সংস্কৃতি:

 ☑          আগামী ৫ বছরের মধ্যে খেলাধুলার কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যাতে একটি গ্রহণযোগ্য স্থান করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য প্রতি জেলায় একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্রীড়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

 ☑         জাতীয় ভাবধারার পরিপন্থি অপসংস্কৃতি চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হবে। সংস্কৃতির মাধ্যমে স্বাধীন চিন্তাধারা ও মতাদর্শের যেন সুষ্ঠু প্রতিফলন হয় তার জন্য গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতির অনুসরণ করা হবে।

বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ

 ☑        বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ, ঝুঁকিমুক্ত অভিবাসন নিশ্চিতকরণ ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রবাসীরা যাতে তাদের কষ্টার্জিত আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সচেঞ্জ হাউস/ব্যাংকের সঙ্গে প্রণোদনা সুবিধাসহ রেমিট্যান্স প্রেরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো যাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে তা নিশ্চিত করা হবে।

>>         বিদেশফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে বিদ্যমান হয়রানি বন্ধ করা হবে। বিদেশ থেকে ফেরত আসা প্রবাসীদের যথাযথ তালিকা প্রস্তুত করে তাদের কল্যাণে নানামুখী  প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

 ☑         প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিদেশে বিপদগ্রস্ত বা আটকে পড়া নাগরিকদের রক্ষা ও ফিরিয়ে আনতে যথোপযুক্ত কনস্যুলার সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


কৃষি ও শিল্প

 ☑          মূল্য-সমর্থন এবং উপকরণ ভর্তুকির সঠিক সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কৃষক যাতে তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে ডাটাবেইজ গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় সমর্থন পাওয়ার যোগ্য কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। কৃষিতে নানা ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শস্য বীমা, পশু বীমা, মৎস্য বীমা এবং পোল্ট্রি বীমা চালু করা হবে।

 ☑          গরীব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কৃষকের কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ করা হবে।

 ☑          দু’বছরের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মুজুরী ১২ (বার) হাজার টাকা করা হবে। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সকল শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মানের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

 ☑          সকল খাতের শ্রমিকদের নূন্যতম মুজুরী নির্ধারন করা হবে।

 ☑         কৃষি উৎপাদনকে লাভজনক পেশায় পরিনত করার লক্ষ্যে উৎপাদন খরচের সাথে যৌক্তিক মুনাফা নিশ্চিত করে সকল কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হবে স্থানীয় সমবায় সমিতির মাধ্যমে।

 ☑          শ্রমিক ও ক্ষেত মজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে।

 ☑          কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমান বাড়িয়ে সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরন সহজলভ্য করা হবে।

 ☑       জলমহাল এবং হাওরের ইজারা সম্পূর্ন বাতিল করে মৎসজীবি ও দরিদ্র জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

 ☑          পুনর্বাসন ছাড়া শহরের বস্তিবাসী ও হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না।

 ☑         স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে শ্রমিকগন মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান প্রিমিয়াম এর মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।

 ☑         ১ (এক) বছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিক মুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাবার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা:

 ☑         জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে। উৎপাদনকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার যুক্তিসঙ্গত মুনাফা নিশ্চিত করে ঔষধের মূল্য যুক্তিসঙ্গত হারে হ্রাস করা হবে।

 ☑        বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জাতীয় এক্রেডিটেশন কাউন্সিল (Accreditation Council) গঠন করা হবে।

 ☑          মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং বয়ঃবৃদ্ধদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 ☑        চিকিৎসার ক্ষেত্রে সিংহভাগ খরচ হয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ডায়াগনস্টিক বুথ স্থাপন করা হবে।

 ☑        শিশুদের ডায়াবেটিস ও বেড়ে ওঠার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।


প্রতিরক্ষা ও পুলিশ

 ☑        একটি দক্ষ, স্বচ্ছ, গতিশীল, মেধাবী, জবাবদিহি মূলক যুগোপযোগী ও গণমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠী কোটা ব্যতিরেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। গতিশীল বিশ্বায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের আলোকে একটি যথোপযুক্ত সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যানমূলক প্রকল্প গ্রহন করা হবে।

 ☑       পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে। সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য যৌক্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।

 ☑       পুলিশ বাহিনীর ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। জাতিসংঘ বাহিনীতে পুলিশের অংশ গ্রহন বৃদ্ধির ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশের জন্য কল্যান মূলক প্রকল্প গৃহীত হবে।

 ☑        ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরদের বেতন ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে আপগ্রেড করা হবে এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যগন অবসরে গেলেও তাদেরকে রেশন সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা

 ☑          দুঃস্থ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা এবং অসহায় বয়স্কদের ভাতার পরিমাণ মূল্যস্ফীতির নিরিখে বৃদ্ধি করা হবে। বেসরকারি ও স্বনিয়োজিত খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্যের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি ‘পেনশন ফান্ড’ গঠন করা হবে। গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।

পরিবেশ:

 ☑          জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য টেকসই কৌশল গ্রহণ করা হবে। উপকূল এলাকাসহ সারাদেশে নিবিড় বনায়ন ও সুন্দরবনসহ অন্যান্য বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পররাষ্ট্র:

 ☑        বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে।

 ☑         বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ডকে কোনো স্পেস দিবে না। একইভাবে অন্য কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

 ☑        মুসলিম দেশসমূহ ও প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ বাসভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 ☑       জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন- সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, বিবিআইএন প্রভৃতি সংস্থাগুলোকে সুসংহত করা এবং কার্যকরভাবে গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 ☑        বিআরআই, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেসিক ইনসিয়েটিভ সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 ☑         বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নেপাল, ভুটান ও য়ুন্নানের জনগণের সংযোগ সহজতর করা হবে।

 ☑         আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বহমান আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আঞ্চলিক ও পারষ্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।


ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

 ☑        পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম ও মর্যাদা সুরক্ষা করা হবে। অনগ্রসর পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকুরী ও শিক্ষাক্ষেত্রে সকল সুবিধা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

 ☑          দল, মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল জাতি গোষ্ঠির সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এই লক্ষ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

 ☑          উল্লেখিত অঙ্গীকারগুলো সম্পর্কে আমাদের পূর্ণাঙ্গ ইশতেহারে বিস্তৃত ব্যাখা আছে। এই ইশতেহার আপনারা বিএনপি’র ওয়েব সাইটে পাবেন। উপরন্তু, ব্যাপক জনগনের সুবিধার্থে এ সপ্তাহেই এ ইশতেহারের মূদ্রিত সংস্করন প্রকাশিত হবে।

 ☑          আমরা বিশ্বাস করি এই নির্বাচনী লড়াই-এ এদেশের মানুষ জয়যুক্ত হবেই। বিজয়ের এই মাসে মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা একতায় বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশের জনগন স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটাবে। মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হবে আমাদের জীবন।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ।
-----------------------------------------
প্রচারে : এম বোরহান উদ্দিন রতন
জাতীয়তাবাদী ব্লগার ( অফিসিয়াল)

Wednesday, November 21, 2018

হিরো আলম এমপি হবার নপথ্যে দেশের দূষিত রাজনীতি জড়িত

কলামটি লিখেছি তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য
(ব্লগে ভালো সাড়া পেয়েছি)

আমাদের তরুণরা ঠিকই প্রতিবাদ করতে জানে, তারা চায় সঠিক নেতৃত্ব ও নেতার গুণগত মান এবং মুক্ত চিন্তা এবং বাকস্বাধীনতা। ( তা গত ছাত্র আন্দোলনে প্রমাণিত)। 

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমরা তা দিতে পারিনি, ক্ষমতার লোভ, রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পৈতৃক সম্পত্তি ভাবা, বিরোধীদলকে নিঃশেষ করে দেয়ার নোংরা মানসিকতা,  আর সমালোচনাকারীকে শত্রু ভাবার মাধ্যমে আমরা ক্রমশ বিপদগামী হচ্ছি...ও রাষ্ট্রকে পঙ্গু করে দিচ্ছি।

আজকে অযোগ্য অদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই হিরো আলমের মতো মানুষ গুলোও সংসদ নির্বাচন করার দৃঢ়তা দেখায়।

আমি তাকে ছোট করছি না,  তবে বন্যেরা "বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে" এই কথায় বিশ্বাসী।

একজন এমপির কাজ কি?
কি কি করার থাকে তাও জানে না যে মানুষ
তার ক্ষমতার পরিধি বা কি কাজ করবে তাও জানে অথচ হুজুগে ভাবে নমিনেশন তুলেছে!

এ আমাদের লজ্জা জাতির লজ্জা,  ঠিক মতো বাংলা ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে জানে না সে কিভাবে এমপি হবে? এটা কি নানা বাড়ির আপদার?

যে কেউ হুট করে ডাস্টবিন থেকে উঠে এসেও রাজনীতির "র" বুঝার আগেই দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিবে?

নেতৃত্ব কি এতো সহজ? নেতা কি এতো সহজ?

নেতা মানি কি?

রাজনীতিতো সবাই করে, নেতা ক'জনে হতে পারে?

নেতা তারাই যারা অন্যকে অনুকরণ,  অনুস্বরণ করেনা, নিজের কথায়, বার্তায়, চলা ফিরা, উঠা-বসায়,  কাজে সব জায়গায় অন্যদের থেকে আলাদা থাকে সেই ব্যক্তি হলো নেতা।

একটি সভ্য জাতির নেতা হিরু আলাম হবার আগে হে আল্লাহ তুমি আমাদের অন্ধ করে দাও,  এই আমাদের লজ্জা।

আজকের হিরো আলম তৈরির মূলহোতা নির্লজ্জ মিডিয়া গুলো। তারা তাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করেছে।

- লেখক এম. বোরহান উদ্দিন রতন

Thursday, September 20, 2018

এই অস্থির, নিয়ন্ত্রণহীন বিরূপ রাষ্ট্র ব্যবস্থার দায় শুধু মাত্র স্বৈরাচারী -বাকশারীদের নিতে হবে।


রাষ্ট্রের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য স্বৈরাচারী মহলের একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট তা হলো গণতান্ত্রিক উপায়ে গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তখন গণতান্ত্রিক সরকার তাদের সকল কর্মকান্ড জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে । তারপরই কেবল আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগরে স্বাধীনতা, মানবাধিকার রক্ষা সহ টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব । স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার যে পথে চলছে সেই পথ চরম ঔদ্ধত্য আর গাদ্দারির পথ, এই দাম্ভিকতা স্পর্ধা দিয়ে কারোই শেষ রক্ষা হয়নি, ফেরাউন, কাহারুন, নমরুদ যুগের অবসান হয়েছে অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে, তারপরে আরো অনেকের পতন হয়েছে ঘৃণিতভাবে, স্বাধীন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দোলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা মীর জাফরের ইতিহাস সবাই জানেন, এবং ঘসেটি বেগমের লাশ পাওয়া যায়নি, বাকশালের জনক শে. মু সাহেবের জায়নাযায় লোক ছিলো ১৪ জন তখন ইনু মতিয়ারা তার হত্যাকান্ডে ড্রাম ডান্স করেছিলো, পাকিদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফারভেজ মোশারফ এর দল এখন বিলুপ্ত, থাইল্যান্ডের থাকসিন সিনাওত্তরির ঐতিহাসিক পতন, ৩১ বছরের ক্ষমতার পর লিবিয়ার গাদ্দাফি ও মিশরের ৩০ বছর ক্ষমতা দখলকারী হোসনি মুবারক এর দল এখন নাই, তাদের নিঃচিহ্ন করা হয়েছে । অতএব, হে বাংলার ভোট ডাকাত সামনে তোমাদের বিপদ
....সময় থাকতে শিক্ষা নাও, বিএনপিকে নিঃশেষ করার অপচেষ্টা সফল হবে না ।

লেখক:  
এম. বোরহান উদ্দিন রতন জাতীয়তাবাদী ব্লগার

Friday, August 3, 2018

“কথিত সুশীলদের চক্ষু লজ্জা বনাম হার না মানা আঠারো ”


নষ্টরা ৪৭ বছর ধরে এই সমাজ, এই দেশকে নোংরা করেছিলো,
এতটাই নোংরা হয়েছে যে, পুরো সমাজের পঁচন ধরেছ সেই পঁচা গন্ধে ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের মাটি দুষিত হয়েছে আর দাগ লেগেছে রক্তে কেনা প্রিয় পতাকায় ।

তখন সুশীলদের নাকে সমাজের পঁচা গন্ধ লাগেনি, আর ময়লার দাগও তারা চোখে দেখেনি।

এখন সোনার টুকরা আমাদের নবীন ছাত্রবন্ধুরা পঁচা গলা সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারের যখন হাত দিয়েছে তখন তো একটু আধটুকু ময়লা তাদের শরীরে লাগবেই। এতে ভুল ধরার আছে কি কোন সুযোগ ?
এখন মার্জিত ও প্রমিত ভাষার প্রতি এতো উপচে পড়া দরদ আসলো কোথায় থেকে?

তারা নিজের মতো করে বিদ্রোহ করবে, সেখানে যে শব্দ মন চায় তা প্রয়োগ করবে, তুমি সুশীলের লজ্জা শরম বেশী হলে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়ো স্বৈরাচারীর অন্তর্বাসে । 

১৮ বছর বয়স হার মানে না, এই বয়স ব্যাকরণ মেনে চলে না, তারা মনের সুখে উড়বে ডানা মেলা পাখির মতো ঐ নীল দিগন্তে, আবার ঝাঁপ দিবে নদীতে, মন চাইলে তারা উঠবে হিমালয় জয় করতে, ওদের বাঁধা দেয়ার ইখতিয়ার কারো নেই, কেননা এই বয়স কোন বাঁধা মানার বয়স নয়।


তাই আমিও কবির কন্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আজ বলছি-
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়–
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।

- লেখক :
এম. বোরহান উদ্দিন রতন
ব্লগার, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী ।

Wednesday, August 1, 2018

আসামে বাঙালি খেদানোর চক্রন্ত চলছে:

ধর্মানুরাগী, ও ধার্মিকরা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়। আর নরেন্দ্র মোদীর মতো বদধার্মিক, উগ্রপন্থী জঙ্গিস্বভাবের মানুষ সমাজ, রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ হয়ে পৃথিবীকে অশান্ত করতেই আসে। আসামে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ায় ৪২ লাখ নাগরিককে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি। এখন ভাষা ও ধর্মের অমিল থাকায় তাদেরকে নাগরিক মানতে নারাজ! সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর ৪র্থ তম ভাষা। পৃথিবীতে ৫০ কোটির অধিক বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছে। তাই বলে সাবাই কি বাংলাদেশী?

 বর্বর দেশ মিয়ানমারও একই কাহিনী করে ১৯৭৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩০ লাখ রোহিঙ্গাকে আমাদের দেশে পাঠিয়েছে। এখন ভারত বলছে আড়াই লাখের বিচার চলছে তারা বাদেই নাকি ৪২ লাখ তারা তাদের নাগরিক নয়, তাদের অর্থমন্ত্রী ঘোষণাই দিলো এরা বাংলাদেশী !মোদী ও তার দলের ২য় নেতা অমিতও বারবার সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে বাঙালি খেদানোর চেষ্টা করছে। যা জাতিগত সংহিতা বাঁধানোর উপকরণ হতে পারে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রায় নেয়া সকল বাংলাদেশী ১৯৭২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে এসেছে। ভারত সরকারও অফিসিয়াল ভাবে তা ঘোষণা দিয়েছিলো ততকালীন সেখানে আর কোন বাংলাদেশী নাই।

তারপর নতুন করে ষড়যন্ত্র কেন? বন্ধু সেজে আমার মানচিত্রে ভাগ বসাতে? আমরা জীবন দিয়ে তা রক্ষা করবো সেই অাশা পূরণ হতে দিবো না। নির্লজ্জ মোদী সরকার আবার ঘোষণা দিলো নাগরিকত্ব থেকে বাদ যাওয়া ৪২ লাখের মধ্যে যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ও উপহাতি তারা থাকতে পারবে । পুরো বিষয়ের সাথে জড়িত সাম্প্রদায়িক উগ্রতা এবং ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব, তার পিছনে হিডেন উদ্দেশ্য হলো ভোটের হিসাব, কারণ মোদীর দলের অভিযোগ আসামের এই বৃহত্তর মুসলিম গোষ্ঠী তাকে ভোট দেয় না, তাই তাদের কোন ইস্যুতে ডি ভোটার করা গেলে সে তার থেকে সুযোগ নিবে । দেখুন কত বড় ইসলাম বিদ্বেষী কুলাঙ্গার। ১৮৮৯ সালে ব্রিটিশ শাসকরা সিদ্ধান্ত নিলো ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলা থেকে ২০ হাজার কৃষককে তারা আসামে নিয়ে যাবে কৃষি কাজ করার জন্য তখন আসামের জনসংখ্যা ছিলো অনেক কম। আর তখন ভারতবর্ষ অবিভক্ত ছিলো। আজকে বাঙালি খেদাও নামে যে অচেষ্টা করছে মোদী এই বাঙ্গলিরা সেই অবিভক্ত ভারতবর্ষের নাগরিক । স্বাভাবিক ভাবে ঢাকার মানুষ - খুলনায় বসবাস করতে পারবে সে যদি সেখানে স্থায়ী হয় ।এখন দেখার বিষয় হাসিনা তাঁর মিত্রদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় ।

-------------------------------------------
লেখক: এম. বোরহান উদ্দিন রতন
ব্লগার ও রাজনৈতিক সংগঠন

Monday, July 30, 2018

সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীসহ তিন সিটি নির্বাচন

প্রিয়
সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীবাসী

সবাই সতর্ক থাকুন, এবং সকলকে নিয়ে ভোট দিতে আসুন, ভোট দেয়ার পরও ফলাফল ঘোষণা করা পর্যন্ত পহারায় থাকুন।

এই ভোট কেবল সিটি নির্বাচনের ভোট নয় এই ভোট হলো আমাদের আগামীর বাঁচা-মরার লড়াইয়ের প্রথম প্রস্তুতি ।
এই ভোট হলো স্বৈরাচার মুক্ত করার ১ম স্টেপ ।

তিন সিটিতে বিএনপি ও বিশ্বাস ঘাতক জামাত ছাড়া বাকী ১৮ দলের মনোনীত ৩ সিটির মেয়র পদপ্রার্থী রাজশাহী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিলেটে অারিফুল হক চৌধুরী এবং বরিশালে এ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার ভাইকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন ।

Sunday, July 29, 2018

ধোঁকা








ধোঁকা
-এম. বোরহান উদ্দিন রতন
------------------------------------

উন্নয়নের গণতন্ত্রে ঘুরছে ঠিকই চাকা
নেইকো কোথায়ও গরীব দুঃখী সবার আছে টাকা ।


ভোটাধিকার মজুদ আছে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা
এসব হলো আইনের ধারা বুঝবি না রে বোকা ।

খুন, গুম আর নিপিড়নে দেশটা অন্ধকারে ঢাকা
এসব কথা বলিস না আর, বুঝবি না তুই খোকা ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে পুলিশের আছে গান
প্রতিবাদ করলে তবে দিতে হবে প্রাণ ।

এসব হলো কথার কথা কাজে কিন্ত ফাঁকা
স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ধোঁকা

( সাবধান এটি আমার বইতে লিখা কবিতা কেউ কপিরাইট করবে না) 

Sunday, July 22, 2018

ব্যাংকের ভোল্ট থেকে সোনা উদাও হওয়ার আসল কারণ



২৬-০৩-২০১২ তারিখে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুরা নানাভাবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগীতা করার কারণে মোট ৭৪ জন বিদেশী নাগরিকেকে সম্মাননা দিয়েছিলো হাসিনার সরকারের (২০০৮ -১৩) মেয়াদের সরকার ।

আপনারা হয়তো অনেকে ভুলে গেছেন, সেই সম্মাননা স্বারকে দেশের সম্মানের চেয়ে বদনাম হয়েছিল, বিতর্কিত ভাবে যে পরিমাণ সোনা থাকার কথা তা না দিয়ে তামা ও মিশ্র ধাতু দিয়ে বিদেশীদের সম্মানা দিয়ে হাসিনা বেকায়দায় পড়েছিলো ।

তারপর নির্লজ্জের মতো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় ততকালীন সময়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন “স্বর্ণকারকে যদি নিজের মায়ের গহনা বানাতে দেয়া হয় সেখান থেকেও তারা কিছু স্বর্ণ মেরে দিবে” এই নিয়ে েএতো জল ঘোলা করার কি আছে ???

চিন্তা করেছেন সেই দায়িত্ব জ্ঞানহীন চোরের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় আজ উদাও হলো রাষ্টের ব্যাংকের ভোল্ট থেকে সোনা । ঠিক একই কায়দায় যেমনটি করা হয়েছিলো সম্মানণার ক্ষেত্রেও । সোনার পরিবর্তে তামা দেয়া হয়েছিলো।

ব্যাপারটার সাথে যখন রাষ্ট্রের সম্মান বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িত, এবং কাজটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং হাসিনার সরকারে তাহলে কোন কর্মকারের বুকের পাঠা এতো বড় যে রাষ্ট্রের সোনা মেরে দেবে কোন রাগব বোয়ালের ইশারা ছাড়া ????

আসলে দলটির সূচনালগ্নে থেকে কম্বল চোরের ইতিহাস ও ব্যাংক ডাকাতির ইতিহাস আছে, যে ধারা অব্যহত থেকে এখন শেয়ারবাজার, রিজার্ভ, ভোল্টের সোনা এবং রাষ্ট্রের খনিজ সম্মদক কয়লা ও লুট হয় ।

এই লুটতরাজদের কবলে দেশ আজ অসহায়, চর দখলের মতো যে সবকিছুই লুট করে চলছে....

কিন্তু কারো নামে কোন অভিযোগ হয় না, মামলা হয় না, শান্তি পায় না কেউ.... অথচ ২০ বছর আগের ফাউল মামলায় মাত্র ২ কোটি টাকার মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে ৩ চার মাস ধরে এই হলো হাসিনার সুশাসন ও গণতন্ত্র ।
         লেখক : এম. বোরহান উদ্দিন রতন
         জাতীয়তাবাদী ব্লগার ও অনলাইন এ্যক্টিভিস্ট

দেশনেত্রীর মুক্তি চাই - Free Begum Khaleda Zia

March 25, 1971: The darkest night of our history

Ziaur Rahman  Ziaur Rahman   was a Bangladesh Forces Commander of BDF Sector 11  BDF Sector 1  initially, and from June as BDF co...