সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছেন।





আর সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান ফেসবুক লাইভে এসে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আরেকটি ১৮ এপ্রিল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এজন্য ঢাকার সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্রুত হলে ফেরার আহ্বান জানি
য়েছেন।বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারকারী আন্দোলনের একটি ফেসবুক গ্রুপে এসে লাইভে রাশেদ খান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
য়েছেন।বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারকারী আন্দোলনের একটি ফেসবুক গ্রুপে এসে লাইভে রাশেদ খান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘যৌক্তিক এই আন্দোলনকে সফল করতে বাংলার ছাত্রসমাজকে এক থাকতে হবে। সারাদেশের কমিটিতে কোনো মতপার্থক্য সৃষ্টি করা যাবে না। বিভেদ সৃষ্টিকারীদের সুযোগ দেয়া যাবে না।’রাশেদ খান বলেন, ‘১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা প্রথা বাংলাদেশে আর থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু, গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য ভিন্নভাবে পেশ করেছেন। তার এই বক্তব্যে ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।





তিনি বলেন, ‘সবার মনোভাব দেখে বুঝতে পেরেছি, আমরা যদি এখনই আন্দোলনের ডাক দেই, তাহলে বাংলার ছাত্রসমাজ ফের ১৮ এপ্রিল তৈরি করতে প্রস্তুত আছেন। যে আন্দোলনে আমরা নেমেছি, সফল হয়েই ঘরে ফিরব। এই বৈষম্য দূর না হলে আপনি আমি কেউই চাকরি পাব না। সারাজীবন বেকার থাকতে হবে, মা-বাবার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যাবে।
কোটা সংক্রান্ত বিষয়েই সবাইকে মগ্ন থেকে ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ারের পরামর্শ দেন রাশেদ খান, ‘আপাতত অন্য বিষয় নিয়ে কেউ মাতামাতি করবেন না। আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য জীবনবাজি রেখে নেতৃত্ব দিচ্ছি। আপনারা আমাদের পাশে থাকুন, সমর্থন দিন। ইনশাআল্লাহ এই আন্দোলন সফল হবেই। বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ আমাদের পক্ষে, কাউকে ভয় পাওয়া কোনো কারণ নেই। ছাত্রশক্তির সঙ্গে কোনো শাসকের পেরে ওঠার ইতিহাস পৃথিবীতে নেই। ছাত্ররা যা বলবে, এদেশেও তাই হবে।





হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের খেলনা পুতুল ভাববেন না। ছাত্ররা খেলার পুতুল নয়। তাদের নিয়ে যেমন ইচ্ছা খেলবেন, যেভাবে ইচ্ছা নাড়াবেন এটা তারা মেনে নেবে না। আজ ছাত্রসমাজ এক হয়েছে, যেকোনো মূল্যে তারা বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’
কোটা সংস্কারের এই আন্দোলনকারী বলেন, ‘রাজধানীর সব আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে ঢাবির অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আপনারা প্রস্তুত থাকুন, যারা বাড়িতে আছেন, দ্রুত ক্যাম্পাসে আসুন, হল অথবা মেসে উঠুন।





বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা শেষ মুহূর্তে এসে টি-টোয়েন্টি খেলে আন্দোলনে ভিন্নমাত্রা দিয়েছিলেন। অতীতে আপনারা ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন করে সফল হয়েছেন, আপনাদের থেকে আমরা অনেক প্রেরণা পেয়েছি। অতীতের মতোই আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। প্রাইভেট-পাবলিক কলেজ বলে কোনো কথা নেই। আমরা ছাত্ররা সব ভাই ভাই। বিভেদমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’ উৎস- পরিবর্তন
No comments:
Post a Comment